মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় => কখনো মাথা ব্যথা অনুভব করেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। মাথা ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে এর মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, মাইগ্রেন, অতিরিক্ত ধূমপা্ন, ভারী মদ পান এবং ব্যথা নাশক ওষুধের অত্যাধিক ব্যবহার। 

এছাড়া ও কাজের চাপে বিশ্রামের অভাবে মাথা ব্যাথার একটি সাধারণ কারণ হতে পারে। কিন্তু মাথা ব্যাথা করলে বিছানায় যেতে হবে বা একটু ঘুমাতে হবে। সময়ের সাথে সাথে মাথাব্যথা খারাপ অবস্থা হলে আপনাকে একজন ডাক্তার দেখাতে হবে। তবুও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যাথা নাশক ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। 

এই ওষুধগুলির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া  আছে। কিন্তু মাথা ব্যথা প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় করা যায়। আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে ঘরে বসে মাথা ব্যথার চিকিৎসা করা যায়।


    মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

    আঙ্গুলের ডগা ব্যবহার করে ঘাড় ও শিরার দুই পাশে কিছুক্ষন মেসেজ করলে আপনি আরামবোধ করবেন এবং আপনার ক্লান্তি দূর হবে, ক্লান্তির কারণে যদি আপনার মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে এই মেসেজটি খুবই সহায়ক হতে পারে।

    ১. আলোর কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে। তাই মাথা ব্যথা হলে ঘরের আলো কমিয়ে দিন     দেখবেন অনেকটা আরাম বোধ করবেন। 

    ২. ল্যাপটপ কম্পিউটার বা সেল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানো থেকে বিরত থাকুন। বাইরে থাকলে ভালো মানের সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

    ৩. আপনার আঙ্গুলের ডগায় এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে কপাল এবং সেরা মেসেজ করুন। পিপারমেন্ট বা লেভেন্ডার এর মত সুগন্ধি তেল দিয়ে মেসেজ করলে মাথার ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।

    ৪. আপনি চা এবং কফি পান করতে পারেন। চা এবং কফিতে  ক্যাফেইন থাকে যা কার্যকর ভাবে মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আপনি কালো চায়ে আদা লবঙ্গ এবং মধু যোগ করে খেলে মাথাব্যথা কমে যাবে। 

    মাথা ব্যথা কোন কোন রোগের লক্ষণ

     নিয়মিত মাথা ব্যথা হতে থাকলে এটি একটি ভয়ানক সমস্যা। আপনি যদি ঘন ঘন মাথা ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ মাইগ্রেন, টেনশন হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদির মত মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। 

     গ্যাস থেকে মাথা ব্যথার কারন

    পেটে গ্যাসের কারণে ও মাথা ব্যথা হতে পারে। পেটের সমস্যা এবং এসিডিটির কারণে অনেকের মাথাব্যথা হয় গ্যাসের মাথাব্যথা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে ফলস্বরূপ একজন একই সাথে মাথা ব্যথা এবং গ্যাসের সমস্যা উভয় অনুভব করতে বাধ্য হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে যদি গ্যাস এবং মাথা ব্যাথার দ্রুত চিকিৎসা না করা হয়। তাহলে এই সমস্যাটি আরো খারাপ হতে পারে এবং আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

    শীতকালে মাথা ব্যথার কারণ

    শীতকাল এমন একটি সময় যখন অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা জনিত কারণে বছরের এই সময়ে মাথা ব্যথা এবং সাধারণ সর্দি কাশি এছাড়াও জ্বর এবং নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য শীতকাল একটি চ্যালেঞ্জিং সময়।  তারা এই সময়ে জ্বর জ্বর ভাব এবং মাথাব্যথা অনুভব করে আর সাইনোসাইটিস মাথা ব্যথার প্রাথমিক কারণ। যদিও মানুষের মাথাব্যথা হওয়ার ৩০০ টির ও বেশি  কারণ রয়েছে এর মধ্যে থেকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

    ১.নিউরো ভাসকুলার মাথাব্যথা মাইগ্রেন এবং উদ্যোগজনিত মাথাব্যথা।

    ২.চোখ সংক্রান্ত মাথাব্যথা।

    ৩.সাইনাস জনিত মাথা ব্যথা।

    সব সময় মাথা ব্যথার কারণ

     টেনশন এবং মাইগ্রেন দুটি সাধারণ কারণ। টেনশন মাথা ব্যথা এর ৭০%  তৈরি করে। বাকি ১১% এর জন্য দায়ী মাইগ্রেন। ধূমপান মদ্যপান, মাদকাসক্ত্‌ ঘুমের ওষুধের অনিয়মিত সেবন অতিরিক্ত ব্যবহার সূর্যের আলো বা অতিরিক্ত তাপ, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধা, মানসিক চাপ ইত্যাদি সবসময় মাথাব্যথার মূল কারণ।

    জ্বর থেকে দ্রুত সেরে ওঠার উপায়

    আজকাল ভাইরাস জ্বর একটি সাধারণ সমস্যা। তরুণবৃদ্ধসহ সবাই এই  জ্বর এ আক্রান্ত হয়। অল্প সময়ে শরীর দ্রুত চাঙ্গা করার জন্য কিছু জিনিস আছে যা মেনে চললে দ্রুত শরীরকে সুস্থ করে তোলা যায়।

     ১. শরীরটা হাইড্রেট রাখুনঃ ভাইরাল সংক্রমণের সময় শরীরকে  হাইড্রেটড  রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং তরল খাবার খান।

    ২.ব্যক্তিগত সুরক্ষাঃ ভাইরাস জ্বর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। এই সময়ে অন্যান্য সন্তানের চোখে বেড়ে যায় তাই আবারও সংক্রমিত হয়ে পড়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় ।

    ৩.বিশ্রাম এমন কাজগুলি এড়িয়ে চলুন যা আপনাকে আরো ক্লান্ত করে তোলে। এ সময় বিশ্রাম

    খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই বিশ্রাম নিন এবং শিথিল থাকার চেষ্টা করুন। এটি শরীরকে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।

    ৪.স্বাস্থ্যকর খাবার খান শরীরের শক্তি ফিরে পেতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন জাতীয় খাবার রাখুন। সহজে হজম হয় এমন খাবার বেছে নিন। এ সময়  চিকেন সুপও খেতে পারেন। এটি শরীর পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে।

     ৫.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানঃ খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এই ভিটামিন গুলি শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করে এবং রোগ নিরাময়ে ও উপকারী।

    ৬.ডাক্তারের পরামর্শঃ যেকোনো রোগে লক্ষণ গুলো বুঝে চিকিৎসা করা জরুরী। তাই নিজে থেকে কোন ওষুধ খাবেন না। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

    ৭.হারবাল চা পান করুনঃ আপনি পানিও হিসাবে হারবাল চা পান করতে পারেন। সর্বোপরি জ্বর ছাড়াতে নিজের শরীরের যত্ন নিন। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে ওষুধ খেতে  হবে। বেশিরভাগ চিকিৎসক জ্বর হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাবার ও বিশ্রাম নিতে বলেন। 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ